নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাবলো নেরুদা নাজিম হিকমতকে নিয়ে লিখেছিলেন— \'সদ্য মুক্তি পাওয়া/বন্দীদের একজন নাজিম হিকমত/তার কবিতার মতো/লাল রং সোনার সুতায়/বোনা জামা উপহার দিয়েছে আমায়’।
প্রখ্যাত দার্শনিক জ্যঁ পল সার্ত্র তাঁর সম্পর্কে...
ছায়া
একদল পিঁপড়ে শীতের কাছ থেকে চুরি ক\'রে নিয়ে আসে— কুয়াশা— উদযাপন করে ক্ষুধা। বস্তুতঃ ক্ষুধার কারণ ব্যাখ্যা করলে— আরো কিছু ক্ষুধা পাওয়া যায়।
শুনেছি— একমাত্র ক্ষুধার যন্ত্রণা পুত্রের মৃত্যুশোক...
\'অন্ধকার একজন ল্যাম্পপোস্ট\'
ঝুঁকে থাকা পল্লবের স্তনবৃন্ত থেকে গড়ায়ে নামে— এমন দুর্লভ অন্ধকার।
ভূগোল বইয়ে মার্গারেট গুছায়ে রাখে পাতাদের ভ্রমন, বাইনোকুলার,
পেখম মেলে রাখা সন্ধে। অনায়াসে সে আড়াল ক\'রে রাখে পথের বিস্তার।
বিমর্ষ ল্যাম্পপোস্টের...
\'তোমাকে তর্জমা করি\'
মাঝেমাঝে—
তোমার চোখ আমার কাছে সমুদ্র মনে হয়
যে পৃথিবীর চেয়ে বেশি কাঁদতে পারে
যে দীর্ঘ রাত্রির যতো কান্না নিয়ে আসে
আমার বুকের পাশে রেখে যায় ভালোবেসে।
কিছু প্রিয়
কিছু অপ্রিয় ভুল
একটা শান্ত...
\'ফায়ারিং স্কোয়াড এবং একটা মৃত্যুভাবনা\'
ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রথমবারের জন্য সচেতনভাবে মৃত্যুকে ধেয়ে আসতে দেখেছিলাম। আমার দুঃখ হচ্ছিল এই কথা ভেবে— মৃত্যুর জন্য নির্ধারিত কোন পোশাক নেই। ঈশ্বরের নামে শপথ...
\'আড়াল\'
স্কুলের বন্ধুরা ছুটিতে পাহাড়ে যেত। আর আমি মায়ের ছায়ায় এসে দাঁড়াতাম।
মা তার দীর্ঘশ্বাসে আমার কষ্ট লুকিয়ে রাখতেন।
বাবার বকুনি এড়াতে আমার সমস্তকিছু নিয়ে লুকিয়ে থাকতাম মায়ের কোলে।
দেখতাম কী সুন্দর ক\'রে মা পেটের...
\'গানওয়ালা\'
যে মানুষটার চোখ নেই; সেও অন্ধকার দেখতে পারে— এই ভেবে নাচের দৃশ্য থেকে লোকগুলো কুড়িয়ে আনে ঘুঙুরের শব্দ।
নিষেধের পাশে খুলে রাখে কাঠের জুতো। ডানার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পাখিদের উড়তে দ্যাখে—...
\'কী ভীষণ শীতকাল দ্যাখো এসেছে\'
মায়ের স্তনবৃন্ত যেন মেয়েটার করুণ দু\'টোচোখ
নাফ নদীর জলে ভেসে আছে রক্তজবার মতন; তার
উজ্জ্বল চোখে কী ভীষণ শীতকাল— দ্যাখো কী ভীষণ শীতকাল
এসেছে পৃথিবীতে; পৃথিবীটা ভাগ হয়ে...
❑
মিজান সাহেব ইদানীং ঘরেই থাকেন। বাইরে খুব একটা যান না। কথা খুব কম বলেন। যেটুকু বলেন তা শুধু জাহানারার সাথে। জাহানারা মিজান সাহেবের স্ত্রী। খুবই ধর্মভীরু মহিলা। পাঁচ ওয়াক্ত...
মায়ের মুখের মতো পবিত্র একটা সকাল
তুমি কি আমায় দিতে পারবে নীরু?
তুমি কি আমায় দিতে পারবে—
একটা উজ্জ্বল রাত,
পবিত্র মেঘ
সুগন্ধী যে মেঘ তোমার চোখে
প্রিয় দৃশ্য হয়ে মিশে আছে
যে...
আমার পদবী কেটে মানুষ লিখে দিও
মৃত্যুভয়ে জীবনকে ভেট হিসেবে দিয়েছে যারা
সারাটা পথ শরীরে কবর বয়ে ফিরেছে তারা
চোখগুলো লাল হয়ে আছে
যেন
এইমাত্র
স্তেপ পেরিয়ে
নিষিদ্ধ খরগোশ
সেজদায় বসেছে রাষ্ট্রের
ঈশ্বরকে সব বলে দেব
বলে...
অনিন্দ্যসুন্দর ড্যাফোডিল
আমার হাতঘড়িতে একটা ট্রেন এঁকে দিও। তার জানলায় বসিয়ে দিও— পাহাড় চূড়ো। সদ্যমৃত দুটি চিত্রল হরিণের আত্মা ট্রেনটিকে ছুটিয়ে নিয়ে যাবে। পাহাড় উপচে অসংখ্য ড্যাফোডিল— ঠিক যেন নীরব সমুদ্র।...
মাত্র একটি শব্দ
তোমার শাড়ির কুঁচিতে, একটা সম্পূর্ণ আকাশ আছে
কিছুটা ধূসর বাকিটা নীল
বাহান্ন টুকরো মেঘে একটি মাত্র শব্দ ভাসে।
নীলাদ্রিতা,
একটা আগুনরাঙা সকাল
নম্র দুপুর
ভেজা সন্ধ্যা
আর এলোমেলো রাত।
ঐ একটি শব্দ যখন...
নীলাদ্রিতা আর দীঘিজল
সেই দীঘিটার কোন নাম কিংবা জন্ম পরিচয় ছিল না
পুরোপুরি অপরিচিত এক দুপুর...
বেঁচে থাকা কিছু মৃতদেহ
আর্টগ্যালারীর ত্রিকোণ চোখে তুমি আজো বিবস্ত্র
বুকের সাথে আলপিনে সেঁটে দেই খবরের কাগজ।
খুঁজে দেখো আজ কেউ মারা যায় নি
চৌমাথায় বুলেট বুকে ছেলেটিও বাড়ি ফিরেছে শেষরাতে
আজ রাতে...
©somewhere in net ltd.