নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
Woke up on the middle of the night
Been wondering
Looked myself on the mirror
What could it be on the other side?
(Mirror world)
(Mirror world)
...
ধাপারি খালের মুখে আড়িয়াল বিলে আমাদের একটুকরো বোরো জমি ছিল। একবার ধান কাটা শেষ হলে রোদ পড়ার পর আমি আর নীশু খেতের আইলে গিয়ে দাঁড়ালাম। অমনি কোথা থেকে উড়ে এলো...
তোমাকে নিয়ে বেঁধেছি এ গান
ও ও ও ও ও
তুমি আমার পরাণের পরাণ
তোমার জন্য মন পুড়ে যায়
বুক ভেঙে খান খান
তোমার সঙ্গে ভাবের খেলা সারাটা জীবন;
তোমার কথা হয় যে স্মরণ সদাই...
একদিন হুটহাট চলে আসবে
আমি অপ্রস্তুত, হয়ত ঘুম থেকেই উঠি নি,
অগোছালো বিছানা, বালিশটা থুত্থুরে বুড়ির মতো
পাতলা, বুক চ্যাপটা; চেয়ারে ঝুলছে ময়লা তোয়ালেটা
ভ্যাঁপসা, উৎকট গন্ধে ঘরটা ভরে আছে
আর এককোণে ফেলে রাখা জাঙ্গিয়াটা
নৈরাজ্যের...
যা তুমি বলো, কিংবা ইথারে ছড়িয়ে দাও ভার্চুয়াল তুলিতে
সবই তা ভিড় করে জড়ো হচ্ছে অমোঘ স্মৃতিতে।
যেমন তুমি বলো, আমার ভেতরে
অবিকল তোমার বাবা খুব তীব্রভাবে খেলা করে।
তাঁর সকল সারল্য কিংবা দৃঢ়তা...
কেউ অপেক্ষা করে না
সময় চলে যায়, দক্ষিণের হাওয়া উড়ে যায়
উত্তরের দেশে, হিমাচলে;
যার জন্য অপেক্ষায় ছিলে, সকাল থেকে দুপুর
দুপুর থেকে সন্ধ্যা, তোমার একটু দেরি হলে
সে আর একমুহূর্ত দাঁড়ায় নি, লেশহীন, ভ্রূক্ষেপহীন...
শিমুলের মতো সুন্দরী মেয়ে আজও দেখি না; সারাদিন কেটে গেছে ওর উড়ন্ত ওড়নার রংধনু দেখে, আমার দিকে ফিরেও চায় নি – কেটে গেছে দিনের পর দিন এভাবেই; বহু বহুদিন।
ওর বিয়ে...
‘ইউরেকা’ ‘ইউরেকা’ বলিয়া বিজ্ঞানী ঘুম হইতে চিৎকার দিয়া উঠিলেন। বিকট চিৎকারে সুপ্তোত্থিতা স্ত্রী হত-বিহবল ও আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় বিজ্ঞানীকে জড়াইয়া ধরিয়া জিজ্ঞাসিলেন, কী হইয়াছে প্রাণনাথ? কে সেই ভাগ্যবতী রমণী যার নাম...
আমি তো চাই নি এমন পৃথিবী
আগুনের সংসার
চেয়েছি একটি প্রেমিকাবধূর
দুটো চোখ কবিতার
চেয়েছি একটি শীতল নদীর
জোসনামুখর বুক
চেয়েছি তোমার কমনীয় রাত
থির পরিপাটি সুখ
আমি তো চেয়েছি সংসার জুড়ে
অমরাবতীর ঘর
কোলাহলহীন নির্ঝঞ্ঝাট
বৈরাগ্যের বর
আজো মনে হয় -...
এই তো ফিরে এসে সুখে ভাসালে আমায়
অভিমানে গিয়েছিলে হারিয়ে কোথায়
বলো, অভিমানে গিয়েছিলে হারিয়ে কোথায়
এখানে, ওখানে, কত খুঁজেছি
পথে কোনো চিহ্ন কিংবা গন্ধ রাখো নি
মনে কী যে ঝড় ছিল কীভাবে বলো
বোঝাবো তোমায়।
একদিন...
(১৯৮৬ সাল। ঢাকা কলেজ, ১০১ নম্বর উত্তর ছাত্রাবাস। একজন টোকাই প্রতিদিন আমাদের হোস্টেলের সামনে ময়লা কুড়াতো, ডাস্টবিনে খাবার খুঁটতো)
প্রতিদিন হোস্টেলের বারান্দায়
কুড়োয় সে কাগজ। কখনো চেটে খায়
কাগজে লেগে থাকা উচ্ছিষ্ট সালুন...
এলিফ্যান্ট রোডে জরুরি ছবি তোলা যায়, লেজারপ্রিন্ট, ঢাকা শহরের সেরা, এ কথা যখন বলছিলি, তখনও আমার মাথায় সূর্য গলে পড়ছিল, আর আমি বসুন্ধরা সিটির উন্মুক্ত ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টের রিভল্ভিং চেয়ারে তোর...
এক যে এক পাখিরাজ্য ছিল, কোনো এক সত্যযুগে -
খুব দয়াবান আর প্রজাবৎসল ছিলেন পাখিরাজ্যের রাজা
আর তার সমগ্র পারিষদ।
তাদের মনে একবিন্দু ক্রোধ বা নিষ্ঠুরতা ছিল না,
এতটুকু প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা...
যেতে যেতে আজ
সকালেই দেখা যদি হয়
তার হাতে আমি এই ফুলটি দেব
ফুল নিয়ে যদি সে একটু হাসে
ভেবে নেব সে আমাকে ভালোবাসে
তাকে নিয়ে লিখি গান, লিখি কবিতা
কীভাবে জানাব তাকে, ভেবে পাই...
যেমন তুমি ভুলে যেতে ভালোবাসো,
আমিও তেমনি হারিয়ে যেতে ভালোবাসি।
যেমন করে সারাটা দিন কাউকে না ভেবে কাটিয়ে দিতে পারো
তেমনি আমিও গভীর অরণ্যে ডুবে যেতে পারি।
তুমি এক স্বচ্ছন্দ পাখি, কতদূর উড়ে যাও...
©somewhere in net ltd.