![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের যশোরের সেই মায়া মায়া সুশীতল ছায়াঘেরা বাড়িটাকে আমি প্রায়ই স্বপ্নে দেখি। যেন শুনশান দুপুরবেলা ভাতঘুমের পর ঘুমাচ্ছে বাড়ির মা চাচী দাদীমা ও বাচ্চারা। অন্য ছেলেমেয়েগুলো সব স্কুল...
আজকাল আমি রোজ বিকেলে সিদ্দিকা কবিরের বই দেখে দেখে ডালপুরি, সিঙ্গাড়া, সামুচা বানাই। বাবার বাড়িতে আমি কিছুই রান্না শিখিনি, এমনকি ভাতও টিপ দিয়ে বুঝতে শিখিনি সিদ্ধ হলো নাকি হলো না...
ঢাকার বাড়িতে এসে সবচেয়ে যে জিনিসটি আমাকে মুগ্ধ করেছে তা আমার শ্বশুরমশায়ের শখের লাইব্রেরটি। তার বইপ্রীতির নমুনা তার সেই শখের লাইব্রেরী ছাপিয়েও বাড়ির অন্যান্য ঘরে ঘরে এসে ঢুকেছে।...
সেই রাতটার কথা ভাবলে আমার বড় অবাক লাগে! একজন অচেনা অজানা মানুষ যাকে চেনা জানা তো দূরের কথা এই দুচোখের সামনেও কখনও দেখিনি সেই মানুষটাই নাকি হঠাৎ মন্ত্রবলে...
গাড়ি এগিয়ে চললো। পিছে ফেলে চললাম আমার এইটুকু বয়সের সকল অতীত, আনন্দ বেদনা ভালোলাগা, ভালোবাসা এবং সকল অভিমান। এতক্ষন কান্না পায়নি আমার কিন্তু ঠিক এই সময়টাতেই আমার...
কাল ছিলো গায়ে হলুদ। আজ আমার বিয়ে। বলতে গেলে সারারাত ঘুমাইনি আমি। আমার জীবনের এই এতটুকু বয়সে যত রাত পার করেছি তার থেকে এই রাতটা একেবারেই আলাদা ছিলো।...
পরদিনও ফিরলো না খোকাভাই। সেজোচাচাও কোনো খবর নিলো কি নিলোনা কিছুতেই জেনেও উঠতে পারলাম না আমি। তবে বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছিলো তখন। পাত্রপক্ষ আর দেরী করতে পারবেন...
এই বাড়ির সালিশ দরবার বিচার আচার যে কোনো আনন্দ অনুষ্ঠান মানে কোনো কিছুতেই কখনও আমি বড়চাচীকে সামিল হতে দেখিনি। যেমনই খোকাভাই এ বাড়ির বড় ছেলের একমাত্র সন্তান হয়েও কখনও...
বক্কুমিয়া চলে গেছে সে সাত দিনও পেরোইনি। এরই মাঝে হটাৎ এক বিকেলে মোটামত গোল্লাগাল্লা চেহারার লাল টকটকে পাড়ের গরদের শাড়ি পরা এক মহিলা এসে নামলেন আমাদের বাড়ির দূয়ারে।...
বক্কুমিয়ার জ্বালায় খোকাভায়ের সাথে মনের ভাব আদান প্রদান, দেখা সাক্ষাৎ, ঝগড়া বিবাদ ভালোবাসা মন্দবাসা সকল যোগাযোগই প্রায় বিকল হতে বসলো। এই জ্বালাতন কাহাতক সহ্য করা যায়! তাই এক...
এরপর একসাথে বাড়ি ফিরলাম না আমরা। প্রথমে ফিরলাম আমি আর তার অনেক পরে ফিরলো খোকাভাই, একেবারে সন্ধ্যা পেরিয়ে। প্রতিদিনই কলেজ থেকে বিকেলে বা দুপুরে বাড়ি ফিরি যখন তখন...
নৌকা চলতেই খোকাভাই খানিক দূরে গলুই এর উপর বসে হাতের আড়ালে হাওয়া আটকে সিগারেট ধরালো। তারপর পোড়া দিয়াশলাই কাঁঠিটা ছুড়ে ফেললো পানিতে। কাঁঠিটা পানির তালে তালে দোল খেয়ে...
নাহ! বাবা মারা যাননি সেদিন। বাবার হার্টে ব্লক ধরা পড়েছিলো এবং ডক্টরের কিছু ঔষধে সমস্যাটা খুব শীঘ্রই নিয়ন্ত্রনেও চলে আসে। বাবাকে নিয়মিত চেকআপ আর ঔষধ পত্র চালিয়ে যাবার...
সেইদিনের পর থেকে আমার যে কি হলো! আমি আর সেই আগের আমি রইলাম না। হয়ে উঠলাম পুরোই আরেক আমি। আমার দুপদাপ চলাফেরা, হাউ মাউ চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করা...
বিদেশিনী চলে গেলো। কিন্তু খোকাভাই ফিরলো না। এই আট আটটা দিন ঐ বিদেশিনী বউকে ঘিরে সারাবাড়ি জুড়ে ছিলো এক গমগমে ভাব। সারা বাড়িতেই বইছিলো উৎসবের হাওয়া। বাঁদরওয়ালাকে ডেকে বাঁদরনাচ...
©somewhere in net ltd.