![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-
-
-
-
-
-
-
দৃষ্টির ওপারে দৃষ্টি রেখে
ছুঁয়ে দিই বিভ্রম স্মৃতির প্যারোডি,
রীতিবিরুদ্ধ আঁশটে বর্ষায়
উবে যায় বুকের উষ্ণ সাহস,
তোলপাড় করা আঙুল সামলে
একাকীত্ব ঠেলে
স্পর্শ করি আশ্চর্য হাস্যদৃশ্য!
কিছু অনিরাপদ প্রশ্নের মুখোমুখি হলে
অপেক্ষমাণ...
-
-
-
-
-
-
হাত বাড়ালেই চোখ ভর্তি হাহাকার আর রুমালের ভাঁজে হাঁসফাঁস করা দীর্ঘশ্বাস
যমুনাতীরে নামে প্রাচীন অন্ধকারের সীমারেখায় আটকে থাকা অশ্রুগাঁথা,
অজানা বালুকাবেলায় স্বপ্নছেঁড়া বিষাদগুলো লেপ্টে যায় শিষ বাজিয়ে।
আর্তনাদী আত্মারা সামু্দ্রিক দুঃখ অস্বীকার...
-
-
-
-
-
-
অবদমিত স্মৃতিরা সাঁতার কাটে নিউরণ সেলে
যতই ভুলতে চাই রোদউল্লাসে বুঁদ হয়ে থাকা স্বপ্নচর
অথচ গোপন টানেল আঁকড়ে ধরে রক্তক্ষত ধূসর অক্ষর।
সময় গিলে খেয়েছে বেদনা মুছে দেওয়া চোখের অনুভূতি
তবুও আশায় থাকি...
-
-
-
-
-
একা ও নির্জনতায় বেঁচে থাকি অনুচ্চারিত নিশ্চুপ শব্দমিছিলে
রেলিং ধরে কুয়াশা নিয়ে দুচোখে মাখি অলিখিত বেদনা
দিনশেষে আহতপাখিরাও ফেরে কোমল কোলাহলে
পুরানো কোথাও দুফোটা তপ্ত জলের আনাগোনা।
ম্যাসাকার বিচ্ছেদের পর ব্ল্যাকআউটের সন্ধ্যা নামলে
সোডিয়াম...
-
-
-
-
যে মানুষটি মুছে গেছে তোমার বাস্তবতায়,
সে আজও ছদ্মবেশে অপেক্ষায়
থাকে দাঁড়িয়ে খুব ভোরে তোমার পথে।
নিঃশ্বাস দূরত্ব ব্যবধান রেখে হেঁটে যায়,
সারাটাদিন জড়িয়ে তোমার ছায়ায়
সে ভুলে গেছে তাঁর বসবাস অতীতে।
শুণ্য চোখে দ্বিধায়...
একদিন তুমিও ফিরবে
অন্ধকার পেছনে ফেলে
বেলা শেষে আলো জ্বেলে
আমার মতো একা হবে
নির্ঘুম চোখে ফানুসের দল
দুরত্ব মুছে কাছে আসবে
অতীতদিনের যন্ত্রণা মুছবে
ছলচাতুরীর কোলাহল
অকাল মৃত্যুর গল্প শেষে
উদ্বাস্তু স্মৃতির স্লোগান ডেকে
একদিন তুমিও আড়াল থেকে
ফুল...
পাখিদের মিছিল
ধরো তোমার চলে যাওয়া পথ ধরে
উড়ে গেলো পাখিদের মিছিল
তোমার আকাশে মেঘেদের পরে
ভেসে এলো ফড়িংয়ের বাতাস
তুমি তাদের সুরে চুল উড়িয়ে দিলে
তখন কি ছোঁবে আমায় বাড়িয়ে হাত...
ধরো রাতজাগা প্রহরে ভোরের...
-
-
-
-
-
দক্ষিণ দিকে চোখ ভর্তি বাতাস নিয়ে তাকিয়ে দেখি সীমারেখায় আটকে গেছে ভাবনার পাখিরা। রুমালের ভাঁজে ক্যাকটাস বনের সামু্দ্রিক দুঃখ নিয়ে তোমাকে লেখা চিঠিগুলো ঘন হয়ে আসা মেঘের আঁধারে ভিজে ধুয়ে,...
-
-
-
-
শুণ্যতার নিচে পিয়ানো শুনি
স্তব্ধতারা জানে বেদনার সুর,
রাত্রির নিচে অভিশাপ গুণি
তারাদের প্রশ্ন আর কতোদূর?
এখনো একই আকাশের নিচে
এখনো একই শহরে
এখনো আমরা বেচে আছি
দূরত্বটা বুকে ধরে
জন্মান্ধের মতো হেঁটেছি বেওয়ারিশ
দূরত্ব পার হয়ে ভুলেছি...
দু’জনকে আজ মনে হয় দু-গ্রহের।
তোমার জীবনের স্রোত ভীষণ পৃথক।
ছুটে যেতে চাই দূরে
অথচ তোমাকে এড়াতে পারিনা …
তবু খুঁজি জীবনের এই সময়ে
ভাবি তোমার স্পর্শে সুখি হব …
অথচ ঐ চোখে ঘৃণার আগুন...
চিঠির সমাপ্তিতে ছিলো
ইতি বেওয়ারিশ প্রেমিক
তোমার উদ্দেশ্যে হেঁটে গিয়ে
হলো পথভোলা পথিক।
এদিক সেদিক পোড়া কাগজের ছাই
যাতে লেখা ছিলো
শুধু তোমাকে চাই প্রিয়া তোমাকে চাই।
বন্ধ ঘরে চিৎকারের স্পর্শে
জেগে ওঠে অবহেলিত ভালোবাসা
নীলে...
দুহাতে মাথা ঢেকে হাঁটু গেড়ে বসে নিজের অধঃপতনের শব্দ শুনি। ভয়াবহ সেই শব্দের তুলনা হতে পারে ব্যাটম্যান বিহীন গথাম সিটির জোকারের হাসিতে। সেই জোকার যে হাসিমুখ ধরে রাখার জন্য...
তোমাকে নিয়ে যখন হাহাকারগুলো জেগে উঠতো তখন টিএসসির ভীড় দেখতাম। ভীড় ঠেলে হেঁটে যাওয়া যুগলদের দেখে তোমাকে মিস করতাম। ঢাকা শহরের বিস্তীর্ণ জ্যাম জুড়ে বসে থাকার সময় সবাই হাঁসফাঁস...
তোমার থেকে হাজার মাইল দূরে শুরু হয় আমার একলা ভোর। ভীষণ একলা হয়ে আমার এই একলা ঘরের জানালা দিয়ে আসে একটু আলো। ঘুমহীন চোখে এই কংক্রিটের চারদেয়ালের শিকল ছিঁড়ে বেড়িয়ে...
আদালতে প্রেমিক - প্রেমিকার মামলা চলছে। কে বাদী পক্ষ আর কে বিবাদী পক্ষ এ নিয়ে আমি নিজেই ধন্ধে আছি। যদিও পুরুষ বলে প্রেমিকের প্রতি আমার সহমর্মিতা আগে থেকেই জন্ম নিয়েছে।...
©somewhere in net ltd.